নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার বৈঠক ২০২২
সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। যেই বৈঠকে মোট আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান চুক্তি ও আলোচনা
- পুরনো চুক্তি নবায়ন: তিনটি পুরনো চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।
- নতুন রেলপথ সংযোগ: দেশভাগের আগে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিল মোট একটি সীমান্তপথ দিয়ে রেল যোগাযোগ। বর্তমানে পাঁচটি রুটে বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল করছে। নতুন চুক্তিতে গেদে-দর্শনা, সীমান্ত থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটিকে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
- তিস্তা জল সংকট: তিস্তা নিয়ে বহু আগে থেকেই সংকট চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির দাবি জানানো হয়েছে, তবে এখনো অগ্রগতি হয়নি। ভারত সফরে শেখ হাসিনার তিস্তা প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব এসেছে, যদিও মূল পরিকল্পনা নিয়ে অস্পষ্টতা আছে।
ট্রান্স শিপমেন্ট ও ট্রানজিট সুবিধা
- ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা: পণ্য রপ্তানি করার জন্য ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা মঞ্জুর হওয়ার অপেক্ষায় আছে। সর্বশেষ মার্চ, ২০২২-এ নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে চুক্তি বাস্তবায়নের আলোচনা হয়েছে।
- ট্রানজিট সুবিধা: বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে যাতায়াত করতে চায়। ১৯৭৬ এবং ১৯৮৪ সালে নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক
- ভারতীয় সুবিধা: ভারত বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে সম্মত, তবে বেশিরভাগ সুবিধা ভারতই পাচ্ছে।
- স্বাস্থ্য খাতে সুবিধা: বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন।
- সীমান্ত সমস্যা ও অভিন্ন নদী: ২০২২ সালের শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা সহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবন্টন নিয়ে সমাধান হতে হবে এবং সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নামানোর লক্ষ্য আছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন
আমাদের ভিডিওগুলো ফেসবুকে দেখতে চাইলে ফেসবুক পেজ লাইক এবং ফলো করুন।